ঢাকা,বুধবার, ৮ মে ২০২৪

প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হচ্ছে

চকরিয়ায় গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার নতুনঘর বুঝিয়ে দিতে চলছে প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী তথা মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন থেকে ১৮০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে দুইশতক জমিসহ একটি করে সেমি পাকা নতুন ঘর। একইসঙ্গে উপজেলার নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠিও পাচ্ছে নতুন ২০টি সেমি পাকা ঘর।

প্রকল্পের আওতায় প্রথমধাপে গত ২৩ জানুয়ারি চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরকারি খাসজমিতে নির্মিত ৮০টি নতুন ঘরের চাবি তুলে দেওয়া হয়েছে উপহারভোগী পরিবারগুলোর হাতে। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্মিত নতুন ঘরের চাবি উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন।

উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, গত ২৩ জানুয়ারী প্রথমধাপে চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৮০টি নতুন ঘর বিতরণ করা হলেও বর্তমানে চলছে অবশিষ্ঠ একশত নতুন ঘর নির্মাণের কর্মযঞ্জ। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ এর নির্দেশনার আলোকে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ইতোমধ্যে এগিয়ে চলছে গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার নতুন সেমিপাকা ঘর নির্মাণের কার্যক্রম। অল্পসময়ের মধ্যে নতুন এসব ঘর নির্বাচিত গৃহহীন পরিবারগুলোকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো.মাসুদুর রহমান। অপরদিকে শুক্রবার ৭ মে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খাসজমিতে নির্মিতব্য নতুন একশটি ঘরের নির্মাণকাজ সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরিজ ও সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো.তানভীর হোসেন। এসময় উপজেলা প্রশাসন ও ভুমি অফিসের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের ভূমিহীন ১৮০ পরিবার এবং ২০টি নৃতাত্ত্বিক দেওয়া হচ্ছে জায়গাসহ নতুন বাড়ি। গত ২৩ জানুয়ারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে প্রথমধাপে উপকারভোগী নির্বাচিত ৮০ পরিবারকে বাড়িসহ জমির বন্দোবস্ত দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রকল্পের আওতায় বাকী একশটি পরিবারগুলোকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার নতুনঘর বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। এরই অংশহিসেবে বর্তমানে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে এগিয়ে চলছে গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার নতুন সেমিপাকা ঘর নির্মাণের কার্যক্রম। অল্পসময়ের মধ্যে আমরা নতুন এসব ঘর নির্বাচিত গৃহহীন পরিবারগুলোকে বুঝিয়ে দেবো।

চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, প্রতিটি সেমিপাকা ঘর নির্মাণে সরকারি বরাদ্দ ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। মাটি ভরাটের কোন বরাদ্দ না থাকলেও সেটি করে দিচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন। প্রতিটি ঘরে থাকছে ২টি রুম, একটি বারান্দা, একটি কিচেন, একটি ওয়াশরুম ও একটি বেসিন।

 

পাঠকের মতামত: